Posts

প্রত্যাশা

Image
  আমার চুলে একটু হাত বুলিয়ে দেবে ? আমায় তোমার চাদড়ে জরিয়ে একটু আদর মেখে দেবে ? আমি আজ বড্ড ক্লান্ত যেন যুদ্ধাহত কোনো সৈনিক তোমার ছুড়ে দেওয়া তীর , আমার হৃদয়ে আঘাত করতে করতে আমাকে আজ ক্লান্ত করে দিয়েছে।   একবার আমার আঙ্গুল ছুয়ে দেবে ? আমাকে একটু জরিয়ে ধরবে ? তুমি যেন একটা সূর্য , আর আমি একটা পৃথিবী তুমি ছাড়া পুরো অন্ধকার আমি , তাপমাত্রার অভাবে হিম হয়ে জমাট বেধেছে আমার শরীরের সব রক্ত যতই জ্বালাও আমায় , পোড়াও আমায় একই কক্ষপথে ছাড়া আমার যেন আর চলার কোন পথ নেই। একটি অদৃশ্য সূতোর ব্যাসার্ধে তোমায় ঘিরে আমার বৃত্ত।   একবার আমার গাল টিপে দেবে ? আমার কপালে একটা চুমু একে দেবে ? যেন আজন্ম তৃষ্ণার্ত আমি , আমার এক চুমুকে শুষ্ক হয়ে যাবে প্রশান্ত মহাসাগর , উদ্যান হবে মরুভূমি কিন্তু তোমার একটা চুমুর কাছে পৃথিবীর সব কিছু নশ্বর। যেন আমার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে ঠোটের স্পর্শ তিনভাগ জল।   একবার তোমার বুকে মাথা রাখতে দিবে ? একবার " ভালোবাসি...

আসমানীদের কথা

Image
  আসমানীদের কথা পল্লীকবি " জসীম উদ্দীনের" 'আসমানী’ কবিতা পড়ার পর আমি শুনেছিলাম আসমানী নামের একটি মেয়েকে দেখেই তিনি এ কবিতাটি লিখেছেন। আর সেই আসমানী বেগম মারা গিয়েছিলেন ২০১২ সালের ১৮ আগস্ট ।  আসমানীর মৃত্যুর পরও তিনি অমলিন। কবির সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যিনি অমরতা লাভ করেছেন, বাস্তব জীবনে তাঁর অস্তিত্ব আমাদের আলোড়িত করেছে। তাঁকে কবিতার মধ্য দিয়ে কবি আমাদের আপনজন করে তুলেছেন। আসমানী আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে পল্লীকবির সাহিত্য কর্মে। সেই আসমানী বেগমের বাড়ি ছিল ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে বরিশাল লাঞ্চ ঘাটের কাছে (ছোট্ট একটা খাল পেড়িয়ে) অবস্থিত রসুলপুর বস্তিতে গিয়ে চোখের সামনে দেখেছি অনেক আসানীদের।  তাদের কালো চোখেও কৌতুক-হাসির কোনো চিহ্ন নেই; বরং সেখান থেকে রাশি রাশি অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশে এখনও অনেক আসমানী বেগম আছেন যারা  ঠিকমতো পেটভরে খেতে পায় না। যাদের পরনের শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় তাদেরকে প্রতিনিয়ত উপহাস করে। আর তাদের বাঁশির মতো সুরেলা মিষ্টি গলার গানের আড়ালের কান্না আমাদের...